বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়ে জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান করেছ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টি আই বি) এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়া ( টি আই এম) আজ সকালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ( এমওইউ) এর বিষয়বস্তুু জনসমক্ষে প্রকাশের আহবান করেছে।

৮ ফেব্রুয়ারী সকালে এক যৌথ বিবৃতিতে দুটি অধ্যায় সম্ভব্য সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ সহ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমস্ত ব্যবস্তা গ্রহণ করার জন্য দুই দেশের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

যাতে দুই দেশের কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের স্বার্থ রক্ষা হয়।

বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সি (বিআরএ) এর একটি গুরুপ তাদের মালয়েশিয়ান দল টিআইবি ও টিআইএম এর সহযোগিতা কামনা করেছে।

শ্রমিক নিয়োগের দুই দেশের স্বাক্ষরিত সকল নথিপত্র জন সম্মুখে প্রকাশ করার আহবান করন। সব ধরনের নথিপত্র পত্র প্রকাশ না করা মানে দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি করার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশংকা করছেন তারা।

বৃবিতিতে আরো বলা হয় অভিবাসী কর্মীদের নিয়োগের পরে নিয়োগকর্তারা যাতে বেতন ভাতা সহ অন্যান সুবিধা দিতে বাধ্য থাকেন সে দিকে সরকারের নজর রাখতে হবে, প্রযোজনে মনিটরিং ব্যবস্তা থাকতে হবে।

এর আগে ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ সালে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী দাতুক সিরি এম সারাভানান এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা পূর্ববর্তী মালয়েশিয়ার পাতাকান হারাপান সরকার কতৃক ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে আরোপিত কর্মী নিয়োগ স্থগিত প্রত্যাহার করে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি ( বায়রা) তখন তার ১৬০০ সদস্যকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য সমান সুযোগের আহবান করেন।

যাতে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মত মাত্র ১০ সংস্থা একচেটিয়া কর্মী নিয়োগ না দেয়।

১৩ জানুয়ারী বাংলাদেশের প্রাধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে, বায়রা সতর্ক করেছিলেন যে কর্মী নিয়োগের সিন্ডিকেটর ফলে শ্রমিকরা শ্রম শোষণের শিকার হতে পারে এবং দুর্নীতি ও মানব পাচার বেশি হতে পারে।